১- অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোলঃ এটি অনেক সুন্দর একটি ফিচার। আপনি গাড়িতে একটা নির্ধারিত টেম্পারেচার সিলেক্ট করে দিলে, গাড়ি নিজ থেকেই এয়ার ফ্লো কমিয়ে/বাড়িয়ে বাইরের তাপমাত্রার সাথে গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা এডজাস্ট করে নিবে। এতে আপনাকে এসির বাটন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তাপমাত্রা/এয়ার ফ্লো এডজাস্ট করা লাগবে না।
২- ডুয়েল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোলঃ এটি ক্লাইমেট কন্ট্রোল এর একটু আধুনিক ফিচার। ডুয়েল জোন এর সুবিধা হলো, ড্রাইভার এবং প্যাসেঞ্জার আলাদা ভাবে নিজের দিকের এয়ার ভেন্ট এর তাপমাত্রা / বাতাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
৩- হেডসআপ ডিসপ্লেঃ হেডসআপ ডিসপ্লে হলো, গাড়ির স্টেয়ারিং এর সামনে ছোট একটা ডিজিটাল ডিসপ্লে। ড্রাইভার এর ড্রাইভ করার সুবিধার্থে এই ফিচার্স দেয়া হয়ে থাকে। এতে গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির গতির উঠানামা দেখা যায়।
৪- প্যাডেল শিফটারঃ কিছু কিছু গাড়ির স্টেয়ারিং এর সাথে দুইপাশে দুইটা বাটন থাকে। ডানপাশেরটায় (+) চিহ্ন থাকে। বামপাশে (-) চিহ্ন থাকে। প্যাডেল শিফটার এর সুবিধা হলো, আপনি গাড়িতে স্পোর্টস মোড এ দিয়ে, ম্যানুয়ালি গাড়ির মতো গিয়ার শিফট করতে পারবেন প্যাডেল শিফটার এর সাহায্যে।
৫- এম্বিয়্যান লাইটঃ এটি একটা লাক্সারি গাড়ির ফিচার্স। গাড়ির ইন্টেরিয়র এর চারিদিকে চিকন সাইজের লম্বা এলইডি লাইটকে এম্বিয়্যান লাইট বলে। রাতের বেলায় এটির গাড়ির ভেতরের সৌন্দর্যকে অনেক বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও আপনি আপনার মনের মতো লাইটের রঙ নির্ধারণ করতে পারবেন।
৬- টেলিস্কোপ এডজাস্টেবল স্টেয়ারিংঃ গাড়িতে যেই পজিশনে স্টেয়ারিং বসানো থাকে, সেটা হয়তো সবার জন্য পার্ফেক্ট না ও হতে পারে। সেইজন্যই গাড়িতে টেলিস্কোপ এডজাস্টেবল এর সুবিধা থাকে। এর সাহায্যে আপনি গাড়ির স্টেয়ারিংকে আপনার যথাযথ পজিশনে সেট করে ড্রাইভ করতে পারবেন।
৭- আর্ম রেস্টঃ আর্ম রেস্ট সাধারনত দুইটা থাকে। একটা সামনে, আরেকটা পেছনে। সামনেরটা দুইসিটের মাঝামাঝি থাকে। আর পেছনের আর্মরেস্ট থাকে পেছনের সিটের মাঝের সিট এ। লং জার্নির জন্য এটি বেশ প্রয়োজনীয় ফিচার্স। গাড়ির ড্রাইভার কিংবা যাত্রীরা যাতে হাতের রেস্ট করতে পারে এবং আরামে ভ্রমণ করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে এটি দেয়া হয়ে থাকে।
৮- প্যানারোমিক সানরুফঃ এটি একটা লাক্সারি গাড়ির ফিচার্স। প্যানারোমিক সানরুফ যুক্ত গাড়িগুলোর ছাদেও গ্লাস থাকে। এই ধরনের গাড়িগুলোর ছাদের কিছুটা অংশ খোলা যায়। বাটন চাপলেই খুলে যায়। আপনি চাইলে গাড়ির ছাদ খুলে ভেতরের সিট থেকে দাঁড়িয়ে অথবা গাড়িতে বসেও উপরের দিকের ভিউ উপভোগ করতে পারেন।
৯- জিপিএসঃ বর্তমান সময়ের বলতে গেলে একদম সব গাড়িতেই এই ফিচার্স থাকে। ড্রাইভারকে পথ চিনতে সহায়তা করে এই জিপিএস সিস্টেম। গাড়ির প্লেয়ারের সাথে জিপিএস প্রযুক্তি যুক্ত থাকে। যার সাহায্যে আপনি গুগল ম্যাপ থেকে আপনার অবস্থান, আপনার গন্তব্যের পথ, রাস্তায় জ্যামের অবস্থা ইত্যাদি জানতে পারবেন।
১০- সারাউন্ড ক্যামেরা- এর অপর নাম ৩৬০° ক্যামেরা। সারাউন্ড ক্যামেরা যুক্ত গাড়িতে মোট ৪টা ক্যামেরা থাকে। সামনে,পেছনে, ডানে এবং বামে। গাড়ির প্লেয়ার এর মধ্যে আপনি গাড়ির চারপাশের অবস্থা দেখতে পারবেন। সারাউন্ড ক্যামেরা বাংলাদেশের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। এটি গাড়ির ড্রাইভারকে ড্রাইভের সময় বেশ সহায়তা করে। সারাউন্ড ক্যামেরা থাকলে গাড়ির অবস্থানের মেজারমেন্ট বুঝতে বেশ সহজ হয় এবং এটি গাড়ি পার্কিং করার ক্ষেত্রেও বেশ সহায়তা করে।