ড্রাইভিং অভ্যাস পরিবর্তন করুনঃ
গাড়ির নিয়ন্ত্রণের জন্য যতটা সম্ভব সতর্ক থাকুন।দ্রুত বা জোরে এক্সিলারেটর প্রেস করে রাস্তায় আপনার ভালো লাগতে পারে কিন্তু আপনার গাড়ির জ্বালানি দক্ষতার ক্ষতি করে।দ্রুত ত্বরণ বা জোরে এক্সিলারেটর প্রেস এবং হার্ড ব্রেকিং এড়িয়ে চলুন, যা হাইওয়ের গতিতে প্রায় ১০-২০ শতাংশ জ্বালানী অর্থনীতিকে কমিয়ে দিতে পারে। গাড়ির আর পি এম ১৫০০-২০০০ এর মধ্য রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার গাড়িও ভালো থাকবে এবং আপনিও নিরাপদ থাকবেন কারণ অতিরিক্ত স্পিডে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে ।
গাড়িকে হাল্কা রাখুনঃ
গাড়ি যত ভারী হবে, তার তৃষ্ণা তত বেশি হবে। অতিরিক্ত 100 পাউন্ড জ্বালানি খরচ প্রায় 1-2% বাড়িয়ে দেয়।
যেসব জিনিস আপনার প্রতিদিন প্রয়োজন হয়না , সেসকল জিনিস বাসায় রাখুন কারন গাড়ি ভারী হলে চাকার উপর বেশি প্রেশার পড়বে ফলে চাকার স্মুথনেস কমে যাবে এবং ঘর্ষণ বেড়ে যাবে।তাই অতিরিক্ত জিনিসপত্র সরিয়ে রাখুন।
ক্রূইজ কন্ট্রোল ব্যবহারঃ
হাইওয়েতে ধারাবাহিক গতিতে গাড়ি চালালে জ্বালানী বাঁচায়। কিন্তু পিচ্ছিল রাস্তায় কখনই ক্রূইজ কন্ট্রোল ব্যবহার করবেন না কারণ এটি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। তবে এটি ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন কারন আমাদের দেশের রাস্তাঘাটে কোনো গাড়ি লেইন মেইনটেইন করে না এমনকি মানুষ হটাৎ রাস্তা পারাপারের জন্য দৌড় দিতে পারে তাই সতর্ক থাকবেন ।
গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করুনঃ
জ্যামে থাকা অবস্থায় গাড়ির স্টার্ট বন্ধ রাখুন এতে আপনার গাড়ির জ্বালানী সাশ্রয় করবে , ফলে মাইলেজও বেশি পাবেন।
টায়ার প্রেশার চেক করুনঃ
সঠিক টায়ার চাপ আপনার গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা উন্নত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টায়ারের চাপ কম হওয়া মানে টায়ার এবং রাস্তার মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্র বৃদ্ধি।ফলে টায়ারের রাবার এবং রাস্তার মধ্যে ঘর্ষণ বেড়ে যায়,তখন জ্বালানি খরচ বেশি হয়। সঠিক টায়ারের চাপ ছাড়া একটি গাড়ি প্রায় ১০-১৫ শতাংশ কম জ্বালানী দক্ষতা প্রদান করবে।নিশ্চিত করুন যে,টায়ারগুলি গাড়ি প্রস্তুতকারকের প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী স্ফীত হয়েছে । মাসে অন্তত ২বার তাদের পরীক্ষা করতে ভুলবেন না,তবে সবসময় সকালে বা রাতে ।কারণ বেলা বাড়ার সাথে সাথে আমাদের পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বাতাসের অনু গুলোও বৃদ্ধি পায় । তাই সকালে বা রাতে টায়ার প্রেশার চেক করুন।
এসি বা ফ্যান মোডঃ
যদি এসি প্রয়োজন না হয় তবে এসি বন্ধ রাখুন।প্রয়োজনে গ্লাস খুলে দিন বা ফ্যান অন করে ফ্রেশ এয়ার মোড ব্যবহার করতে পারেন।তবে ধুলোবালি যুক্ত রোডে গ্লাস বন্ধ রাখাই ভালো।
রোড প্ল্যানঃ
ড্রাইভ করার পুর্বে কোন রোড দিয়ে গেলে সহজ ও জ্যাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করুন।
সকালে বা রাতে তেল রিফিল করুনঃ
সকালে ও রাতে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে তাই আপনি যদি সকালে রাতে জ্বালানি রিফিল করেন, তাহলে শীতল তাপমাত্রা নিশ্চিত করবে। যেকারণে আপনি আরও ভাল ঘনত্বের জ্বালানী পাবেন। তাই জ্বালানী যত ঘন থাকবে আপনি তত বেশি পরিমানে জ্বালানী পাবেন।
গাড়ির নিয়মিত চেক আপ করুনঃ
- স্পার্ক প্লাগ
- এয়ার ফিল্টার
- মোবিল ও মোবিল ফিল্টার
- থ্রোটল বডি বা বাটারফ্লাই ক্লিন
- এছাড়া যা যা প্রয়োজন হয়
.
এয়ার ফিল্টার
আপনার গাড়ির ইঞ্জিন এয়ার ফিল্টারের অবস্থা পরীক্ষা করুন। একটি নোংরা ফিল্টারের কারণে আপনার গাড়ির মাইলেজ কম হতে পারে । ধুলোময় ময়লা রাস্তা চালানোর ফলে এয়ার ফিল্টারে ধুলো আটকে যেতে পারে ফলে ইঞ্জিনের উপর প্রেশার পড়বে ।তার কারনেও মাইলেজ কমতে পারে।
মোবিল ও মোবিল ফিল্টার
গাড়ি প্রস্তুতকারকের প্রস্তাবিত সময়সূচী অনুযায়ী মোবিল গ্রেড ও ফিল্টার প্রতিস্থাপন করুন। এটি জ্বালানি দক্ষতা সাহায্য করবে । আমাদের দেশে সাধারনত একবার মোবিল রিফিল করলে প্রায় ৩০০০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত চালানো যায় ।
উক্ত কাজগুলো অনুসরন করলে আশা করি আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
ধন্যাবাদ
কার’স ফিড বিডির সাথেই থাকুন
“মনে রাখবেন,সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি তাই
সাবধানে গাড়ি চালাবেন ভালো থাকবেন”