আলোচনা করবো, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্টেশন ওয়াগন, টয়োটা ফিল্ডার সম্পর্কে। টয়োটা ফিল্ডার অনেক প্র্যাক্টিক্যাল একটা গাড়ি। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে ফিল্ডারের কোনও কম্পিটিটর নাই। সে একাই একশ! আজকে আলোচনা করবো স্টেশন ওয়াগন গাড়ি অর্থাৎ নির্ধারিত করে বললে, টয়োটা ফিল্ডার মডেলের গাড়ির বাড়তি কিছু সুবিধাগুলো সম্পর্কে-
১- ফিল্ডার হচ্ছে টয়োটা এক্সিওর স্টেশান ওয়াগন ভার্সন। কিন্তু ডিজাইন বিবেচনা করলে, ফিল্ডারের ডিজাইন ব্যক্তিগতভাবে এক্সিওর চাইতে বেশি সুন্দর মনেহয়।
২- পেছনের বিশাল ট্রাঙ্ক স্পেস থাকে। যার কারণে গাড়িতে অনেক কিছু বহন করা যায়। এছাড়াও বাড়তি স্পেস প্রয়োজন হলে পেছনের সিট ফোল্ড করে গাড়ির অর্ধেকের বেশি জায়গাকে ট্রাঙ্ক স্পেস বানানো যায়।
৩- লং ট্যুরের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। কয়েকজন একসাথে কোথাও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গেলে সাধারণত অনেক জিনিসপত্র এবং ব্যাগ থাকে। স্টেশন ওয়াগন গাড়িতে ট্রাঙ্ক স্পেস অনেক বেশি থাকে। যার কারণে, অনেক কিছু সাথে নেয়া যায়।
৪- ব্যাক ডোর খুলে দুইজন বসে গল্প করতে পারবেন! কোথাও ট্যুরে গেলেন, পাহাড়ের এক কোনায় অথবা নদী/সমুদ্রের পাড়ে গাড়ির ব্যাক ডোর খুলে, সেইখানে বসে সুন্দর একটা সময় পার করতে পারবেন। যা সেডান গাড়িতে সম্ভব না।
৫- পেছনের সিট ফোল্ড করলে গাড়ির ভেতরে অনায়াসে দুইজন ঘুমানোর মতো জায়গা হয়ে যায়! ইচ্ছে হলে, গাড়ির ভেতরে দুইজন আরামে ঘুমাতে পারবেন।
৬- বাড়তি আরামের জন্য সামনের সিটের মতো পেছনের সিটকেও পেছাতে পারবেন। লম্বা ভ্রমণের জন্য এটি বেশ কার্যকরী একটি সুবিধা। এই বাজেটের কোনও গাড়িতে এই সুবিধা পাবেন না!
৭- ফিল্ডার গাড়ির বেসিক প্যাকেজেও গাড়িতে ব্ল্যাক ইন্টেরিয়র এবং আর্ম রেস্ট থাকে। যা এক্সিওতে থাকে না।
৮- যেহেতু স্টেশন ওয়াগন শেইপ, তাই পেছনের সিটের হেড-স্পেস এক্সিওর চাইতে অনেক বেশি। তাই লম্বা কোনও মানুষের পেছনের সিট এ বসতে অস্বস্তি লাগবে না।
মোটকথা, ফিল্ডার অনেক প্র্যাক্টিকাল একটা গাড়ি। উপরের উল্লেখিত ফিচার্সগুলোর প্রত্যেকটাই অনেক প্রয়োজনীয়। এই ফিচার্সগুলো ফিল্ডারের চাইতে আরো অনেক দামী গাড়িতেও থাকে না। এক্সিও এবং ফিল্ডার এর দাম প্রায়ই একই। কিন্তু এক্সিওর চাইতে ফিল্ডারে বাড়তি অনেকগুলা সুবিধা পাচ্ছেন যেইগুলোর প্রত্যেকটাই প্রয়োজনীয়। বাজেট হিসেবে ফিল্ডার এককথায় ভ্যাল্যু ফর মানি।