CVT এর পূর্নরূপ হলো CONTINUOUSLY VARIABLE TRANSMISSION। অর্থাৎ এটি অনবরত পরিবর্তন হতে থাকে কিন্তু এতে অন্যান্য ট্রান্সমিশনের মত গিয়ার থাকে না। CVT তে ২টি Pulleys (পুলি হলো গোল চাকার মত একটি লোহার বস্তু পাশের চিত্রে দেখানো হলো) থাকে। ১টি ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত অন্যটি চাকার সাথে।এটিতে একটি ফ্লেক্সিবল বেল্ট থাকে যা ২টি Pulley এর সাথে সংযুক্ত।
CVT এর ইতিহাসঃ
CVT সম্প্রতি জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও এটি কিন্তু ১৪৯০ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি প্রথম ডিজাইন করেছিলেন।মিল্টন রিভস ১৮৭৯ সালে তার স’মিলে এটি ব্যবহার করে এবং তিনি পরবর্তীতে এটি তার গাড়িতেও ফিট করে। এমন করে আরোও অনেকে এটি ব্যবহার করে । সর্বশেষে গাড়ি কোম্পানি সুবারু ১৯৮০ সালে এর কার্যক্রম আবার শুরু করে। এছাড়া বর্তমানে নিশান,হোন্ডা ,অডি আরোও অনেক কোম্পানি এটি ব্যবহার করছে । তবে হোন্ডা কোম্পানির CVT তুলনামূলকভাবে ভালো।
যেই কারণে CVT নষ্ট হতে পারেঃ
- অনেকদিন ধরে যদি ট্রান্সমিশন অয়েল চেঞ্জ না করেন ,তবে ওভারহিট হতে পারে।আর ওভারহিট হলে ট্রান্সমিশনে থাকা রাবার বেল্টের প্রশস্থতা বৃদ্ধি পেতে পারে ফলে ট্রান্সমিশন স্লিপ হতে পারে।
- যেহেতু এটি বেল্টের উপর নির্ভর করে চলে সেহেতু গাড়িতে অতিরিক্ত ওজন বহন করলেও ট্রান্সমিশন স্লিপ হতে পারে।
- ভালো ট্রান্সমিশন অয়েল ব্যবহার না করলেও CVT নষ্ট হতে পারে।
- অভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা মেইন্টেন্যান্স না করানোর ফলেও নষ্ট হতে পারে।
CVT এর সুবিধাঃ
- অটোমেটিক ট্রান্সমিশন বা ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের তুলনায় CVT জ্বালানি সাশ্রয়ি করে। তাই কিছু হাইব্রিড গাড়িতে ও ছোট গাড়িতে CVT ব্যবহার করে।
- CVT এর সাইজ ছোট হয় ফলে ওজনেও কম।
- যেহেতু CVT এ কোনো গিয়ার শিফটিং ব্যবস্থা নেই তাই স্মুথ ফিল পাওয়া যায়।
- অন্যান্য ট্রান্সমিশনের তুলনায় CVT এর ভিতরে কম্পনেন্ট কম তাই সহজে এবং কম সময়ে ঠিক করা যেতে পারে।
CVT এর অসুবিধাঃ
- যারা কিছুটা স্পোর্ট ফিল পেতে চান তাদের কাছে CVT ভালো নাও লাগতে পারে কারণ এতে গিয়ার শিফটের কোনো ব্যবস্থা নেই।
- CVT যেহেতু বেল্টের উপর নির্ভর করে চলে সেহেতু ট্রান্সমিশনে থাকা রাবার বেল্টের প্রশস্থতা বৃদ্ধি পেতে পারে ফলে ট্রান্সমিশন স্লিপ হতে পারে।
- অন্যান্য ট্রান্সমিশনের তুলনায় শব্দ বেশি হয়।
- অন্যান্য ট্রান্সমিশনের সাথে তুলনা করলে CVT তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
- CVT এ মাঝে মাঝে এক্সেলারেশন নাও হতে পারে এবং কাপাকাপি বা ঝাঁকুনি সমস্যা দেখা দেয়।
- CVT এ Overheating সমস্যা দেখা যায়।
CVT কিভাবে যত্ন নিবেনঃ
- জ্যামে থাকা অবস্থায় গিয়ার নিউট্রালে রাখুন।
- নিয়মিত বা সময়মত ট্রান্সমিশন অয়েল চেঞ্জ করুন তবে ভালো অয়েল হতে হবে। কম দামী ডুপ্লিকেট অয়েল ব্যবহার করবেন না। (কোম্পানি রিকমান্ডেড )
- ব্রেক ভালো করে চেপে গিয়ার নব চেঞ্জ করবেন ।
ধন্যাবাদ
কার’স ফিড বিডির সাথেই থাকুন
“মনে রাখবেন,সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি তাই
সাবধানে গাড়ি চালাবেন ভালো থাকবেন”