▪️Toyota CHR. বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটা কম্প্যাক্ট ক্রসওভার। CHR এর পূর্ণরূপ হচ্ছে (Coupe High Rider). এই গাড়ির বর্তমান দাম ৩২-৩৫ লাখ টাকার মধ্যে। সিএইচআর বাংলাদেশে আসার পর থেকে এলিয়েন/প্রিমিও এমনকি হোন্ডা ভেলেজ এর চাহিদা ও আগের তুলনায় কমে গেছে। সিএইচআর জনপ্রিয়তা পেয়েছে মূলত এর ডিজাইনের কারণে। গাড়িটা ডিজাইন করা হয়েছে ইউরোপীয়ান টয়োটা কাস্টমারদের জন্য এবং সিএইচআর রিলিজ করার পরপরই এটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জাপানে ও সিএইচআর এর উৎপাদন হয়। এর স্পোর্টি ডিজাইনের কারণে এই বাজেটের অন্য গাড়ির তুলনায় CHR কে অন্যরকম সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখায়। CHR এর প্রোডাকশন শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। বাংলাদেশে ও এখন প্রচুর CHR বিক্রি হয়। সিএইচআর এর অনেকগুলা প্যাকেজ হয়। তবে বাংলাদেশে সাধারণত ৪টা প্যাকেজ আসে। যথাক্রমে, S, G, Gled, GRS।
▪️এক্সটেরিয়রঃ গাড়িটাকে প্রথম দেখায় টয়োটার কোনও গাড়ি মনে হয় না। টয়োটার অন্য কোনও গাড়ির সাথে CHR এর ডিজাইন এ কোনও অংশেই মিল নাই। CHR এ আছে থ্রিডি ডিজাইনের হেডলাইট। হেডলাইটে প্রোজেকশন এলইডি এবং DRL থাকে। টেইললাইট ও অনেক সুন্দর। Gled প্যাকেজে পিছনের এলইডি লাইটগুলা বেশ আকর্ষণীয় দেখায়। CHR গাড়িতে ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র উভয় দিকেই অনেকগুলা ডায়মন্ড শেইপ এর কাজ আছে। এটি একটি কম্প্যাক্ট এসইউভি। এর এক্সেটেরিয়র ডিজাইনটা অনেক ফোলানো। যার কারণে গাড়িটা দেখতে স্পোর্টি লাগে। পেছনের ডোর হ্যান্ডেলটা একটু উপরে। যেটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে, একদেখায় ৪ দরজার গাড়ি মনে হয় না। হঠাৎ করে খেয়াল করলে ডোর হ্যান্ডেল বুঝা যায় না। সিএইচআর এর সাথে ১৭ এবং ১৮ ইঞ্চি সাইজের এলয় রিমস আসে। সাথে লোপ্রোফাইল টায়ার।
▪️ইন্টেরিয়রঃ সিএইচআরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন বেশ সুন্দর। ভেতরে ও অনেকগুলা ডায়মন্ড শেইপ এর টাচ দেখা যায়। সামনে গ্লাভ বক্স এবং সামনে-পেছনে বেশ কয়েকটা কাপহোল্ডার্স এবং বোটল হোল্ডার্স আছে। সিএইচআর এর ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমটা বেশ বড় সাইজের এবং ড্রাইভার ফোকাসড। সাথে রিভার্সক্যামেরা তোহ থাকছেই। G & G-Led প্যাকেজের সাথে অনেকসময় ৩৬০° ক্যামেরা থাকে। সিএচআর এ ডুয়েল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল থাকে। এছাড়াও CHR এ স্টেয়ারিং কন্ট্রোল, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, ইলেক্ট্রনিক পার্কিং ব্রেক, ক্রুজ কন্ট্রোল, লেইন ডিপার্চার এ্যাসিস্ট, অটোমেটিক হেডলাইট ইত্যাদি ফিচার্স আছে। এছাড়াও পার্কিং সেন্সর এবং সিটি ট্রাফিক ব্রেইক এ্যাসিস্ট ও আসে CHR এর সাথে। সিটগুলো সেমিবাকেট আর্টিফিশিয়াল লেদারের এবং বেশ কম্ফোর্টেবল। সাথে সিট হিটার তোহ থাকছেই। ড্যাসবোর্ডে ও লেদারের টাচ আছে। পিছের সিট এ যথেষ্ট জায়গা আছে। ৩ জন অনায়াসেই বসা যায়। তবে কোনও আর্মরেস্ট নাই। উপরের সিলিংটা অনেক সুন্দর। যেখানে কিছু ডায়মন্ড এর ডিজাইন আছে। পেছনের জানালা একটু ছোট। যেটা লং জার্নিতে অনেকের কাছে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। যথেষ্ট হেড এবং লেগ স্পেস আছে। CHR এ ৭টা এয়ারব্যাগ থাকে। পেছনে ৩৭৭ লিটারের ট্রাংক স্পেস আছে। এছাড়াও বাড়তি স্পেস প্রয়োজন হলে, পেছনের সিট ফোল্ড করে আরো স্পেস বাড়ানো যায়।
▪️ইঞ্জিনঃ Toyota CHR এ ১.৮ লিটার চার সিলিন্ডার এ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু হাইব্রিড, এইজন্য সাথে ইলেকট্রিক মোটর এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি আছে। ইঞ্জিন থেকে ৯৮ এবং ব্যাটারি থেকে সর্বোচ্চ ৭২ হর্সপাওয়ার পাওয়া যায়। অর্থাৎ ব্যাটারিতে বেশি চার্জ থাকলে ১৭০ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত শক্তি পাওয়া যায়। তবে এভারেজ ১২২ হর্সপাওয়ার এর মতো সবসময়ই থাকে। সাথে 142NM টর্ক।
▪️বাংলাদেশে সিএইচআর এর কম্পিটিটর হচ্ছে Honda Vezel. ভিজেল ১৫০০ সিসি হাইব্রিড এবং দাম সিএইচআর থেকে একটু কম। সিএইচআর এর এক্সটেরিয়র ভিজেল থেকে সুন্দর বেশি। ভিজেল এ পিছনের সিটের স্পেস সিএইচআর থেকে বেশি এবং ভিজেল এ আর্মরেস্ট আছে। বাংলাদেশে একসময় প্রচুর হোন্ডা ভিজেল বিক্রি হইতো। তবে সিএইচআর আসার পর থেকে ভিজেল এর চাহিদা বাংলাদেশে আগের তুলনায় কমে গেছে।