প্রথমে আমরা জানার চেষ্টা করি হাইব্রিড গাড়ি কি??
আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ি বলতে ব্যাটারি চালিত গাড়িকে বোঝায়।সহজ করে বললে হাইব্রিড গাড়ি হল এমন একটি যানবাহন যাতে একাধিক শক্তির উৎস থাকে।হাইব্রিড গাড়িতে একটি বৈদ্যুতিক মোটর এবং একটি পেট্রোল বা ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করে।তবে মূল উৎস হিসেবে গ্যাসোলিন (পেট্রোল বা ডিজেল) ইঞ্জিন থাকে।কারণ গ্যাসোলিন (পেট্রোল বা ডিজেল) ইঞ্জিন থেকে শক্তি পেয়ে ব্যাটারি চার্জ হয় এবং সেই ব্যাটারি দিয়ে মোটরটি চলে।
হাইব্রিড গাড়িতে মূল যন্ত্র হিসেবে কি কি থাকে ?
- একটি ব্যাটারি প্যাক। যা পিছনের সিটের নিচে থাকে।
- একটি পাওয়ার ইনভার্টার।
- একটি বৈদ্যুতিক মোটর।
- একটি অনবোর্ড ব্যাটারি চার্জার।
- ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
- চার্জিং পোর্ট। ( যা সাধারনত ফুল ইলেক্ট্রনিক ভেহিকলে বেশি দেখা যায় তবে বর্তমানে কিছু কিছু প্লাগ ইন হাইব্রিড কারে রয়েছে ]
হাইব্রিড গাড়ির উপকারিতাঃ
- ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়
- পরিবেশবান্ধব
- শব্দ দুষণ কমায়
- জ্বালানি সাশ্রয় করে তাই খরচ কম
- হাইব্রিড গাড়িতে ব্যবহৃত হালকা উপকরণ যা শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে।
- সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, হাইব্রিড গাড়িতে রয়েছে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম প্রতিবার আপনি গাড়ি চালানোর সময় ব্রেক প্রেস করলে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি একটু রিচার্জ হয়। ব্রেক প্রয়োগের এই গতির ফলে যে শক্তি নির্গত হয় তা একটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া দ্বারা ক্যাপচার করা হয় এবং ব্যাটারি রিচার্জ করতে ব্যবহৃত হয়,তাই দীর্ঘ যাত্রায় ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য পর্যায়ক্রমে গাড়ি বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা দূর করে।
- জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস করে ।
হাইব্রিড গাড়ির অপকারিতাঃ
- তুলনামূলক ক্রয় ব্যয়বহুল তবে বর্তমানে আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ির ট্যাক্স হ্রাস করা হয়েছে ।
- মেইন্টেনেন্স খরচ তুলনামুলক বেশি
- নন হাইব্রিড কারের তুলনায় বেশি সেন্সিটিভ।
- যেকোনো মেখানিক দ্বারা কাজ করাতে পারবেন না। কারণ হাইব্রিড গাড়ির কাজ করার জন্য দক্ষ মেখানিকের প্রয়োজন হয়। তাই কখনও যদি হাইওয়ে বা দুর্গম রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে যায় তবে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
হাইব্রিড গাড়ি কিভাবে চার্জ হয় ?
হাইব্রিড গাড়ি রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেমের মাধ্যমে চার্জ হয় অর্থাৎ , প্রতিবার ড্রাইভার
ব্রেক করলে ব্যাটারিগুলি ব্রেকিংয়ের মাধ্যমে চার্জ হয়। তবে ডিসি টু ডিসি পাওয়ার
কনভার্টার থাকায় ইঞ্জিনটি ব্যাটারিগুলিকেও চার্জ করে থাকে। এছাড়া যেসব গাড়িতে প্লাগ
ইন চার্জ সিস্টেম রয়েছে যেমনঃটয়োটা প্রিয়াস সেগুলো আপনি মোবাইল বা ল্যাপটপের মত
করেও চার্জ দিতে পারবেন।
মূলত আমি আপনাদেরকে কিছু কিছু বেইসিক কথা বলার চেষ্টা করেছি যাতে হাইব্রিড গাড়ি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা হয়।
বর্তমান বিশ্বের কথা চিন্তা করলে আমরা দেখতে পাই প্রতিটি মেশিন কিন্তু আপডেট হচ্ছে ।
বিজ্ঞানিরা প্রতিনিয়ত সব কিছুকে সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার চেষ্টা করছে।যারা হাইব্রিড গাড়ি কিনতে ভয় পাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই ।
একটা সময় কিন্তু সব গাড়ি ইলেক্ট্রনিক গাড়িতে পরিনত হবে তাই আপনাকেও তখন ইলেক্ট্রনিক গাড়ি ক্রয় করতে হবে ।আর অন্যদিক বিবেচনা করলেও দেখবেন হাইব্রিড গাড়ির সুবিধা বেশি।
একটি উদাহরন দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করিঃ
বাজারে একটি নতুন দামি আই ফোন আসলে আমরা বলি নকি যে ,এই মোবাইলের পার্টস কি এভেইলেবল /ডিসপ্লে কি এভেইলেবল নাকি?? আমার মনে হয় না এরকমটা কেও ভাবে । কারন যত আধুনিক ডিভাইস বা প্রযুক্তি আসে সব কিছুই কিন্তু কিছু নতুন নতুন ফিচারস নিয়ে আসে । তাই আমাদের উচিত ধীরে ধীরে এসব প্রযুক্তির সাথে পরিচয় হওয়া।
বর্তমানে কিন্তু হাইব্রিড গাড়ির প্রায় সকল পার্টস আমাদের দেশে পাওয়া যাচ্ছে।সকল দিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় আমাদের সবাইকে হাইব্রিড গাড়ির সাথে পরিচয় হওয়া।
আপনাদেরও মতাতের সুযোগ আছে ।তাই অপেক্ষায় থাকলাম।মতামত জানাতে প্রবেশ করুনঃ https://www.hotshotautomotive.com/blog/
ধন্যবাদ
কার’স ফিড বিডির সাথেই থাকুন
“মনে রাখবেন,সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি তাই
সাবধানে গাড়ি চালাবেন ভালো থাকবেন”